বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০১:২০:৫৫

সেদিন মাশরাফির বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল `উপহার বর্জনীয়`

সেদিন মাশরাফির বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল `উপহার বর্জনীয়`

স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফির বিয়ে ছিলো নতুন একটি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও। বিভিন্ন নতুন নতুন সংস্কুতি চালু হয়েছে দেশে। কোনটি সঠিক আর কোনটি অপসংস্কৃতি সেটা বুঝাও বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিয়ে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের হাতে শোভা পায় নানা উপঢৌকন। উপহার সামগ্রীর কারণে অনেকটাই লাঘব সত্যিকারের আথিথেয়তা। জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফির বিয়ে ছিলো এই রীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ স্বরুপ। সেদিন মাশরাফির বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল `উপহার বর্জনীয়`।

আজ (বুধবার) আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ সবকিছুর মধ্যদিয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সুমনা হক সুমির দশম বিবাহবার্ষিকী।

সেই ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে মাশরাফি বিন মোর্তজা ও নড়াইলের মেয়ে সুমনা হক সুমির সঙ্গে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর চিত্রা নদীর কুলঘেঁষে গড়ে ওঠা চিত্রা রিসোর্টে সম্পন্ন হয় জাকজমকপূর্ণ বৌভাত অনুষ্ঠান।

সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ, খেলোয়াড়সহ নড়াইল জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি রূপ নিয়েছিল মিলন মেলায়। মাশরাফির বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল `উপহার বর্জনীয়`। সে কারণে অন্য সব বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো কাউকে গিফটবক্স হাতে নিয়ে আসতে হয়নি।

এই জুটির দুটি সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান হুমায়রা (৫) এবং ছোট ছেলে সাহেল (২)।
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে